রাঙামাটি প্রতিনিধি: শারদীয় দুর্গাপূজা ও সপ্তাহিক ছুটি এবং ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি মিলিয়ে টানা তিনদিনের ছুটিতে পর্যটকদের উপছে পড়া ভীড় পার্বত্য জেলা রাঙামাটি। শহুরে যান্ত্রিক কোলাহল ভুলে প্রকৃতির কোলে সময় কাটাতে হ্রদ পাহাড়ের শহর রাঙামাটিতে ছুটে এসেছেন হাজারো পর্যটক। বুকিং রয়েছে বেশিরভাগ হোটেল-মোটেলের রুম।
ছুটি পেলেই পর্যটকরা রাঙামাটি ছুটে আসেন মেঘ পাহাড় আর লেকের সৌন্দর্য্য উপভোগে। যার ব্যক্তিক্রম এইবারও নই । টানা ছুটিতে রাঙামাটি মুখি ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা। আর তাদের বরণে প্রস্তুত রাঙামাটির পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
বধুবার বিজয়া দশর্মীর ছুটি থেকেই শহরে পর্যটকের সমাগম শুরু হয়েছে। যার চাপ প্রতিদিনই বাড়ছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পর্যটকের চাপ আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
হোটেল মতি মহলের স্বত্ত্বাধিকারী মো.নেজাম জানান, টানা ছুটির কারণে আমাদের হোটেলের প্রায় শতভাগ রুম বুকিং বলা যায়। রবিবার পর্যন্ত আমাদের হোটেলে কোন রুম খালি নেই।
পর্যটকের চাপ শুধু রাঙামাটি শহর নয়, মেঘের রাজ্য সাজেকেও পর্যটকের বাড়তি চাপ রয়েছে, কটেজ রির্সোট ছাড়াও কমিউনিটি ব্যাচে(সাধারণ মানুষের বাড়ি ঘরে) রাখা হয়েছে পর্যটক।
রাঙামাটি পর্যটন করর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৃজন কান্তি বড়ুয়া জানান, টানা ছুটির কারণে আমাদের প্রায় ৮০ভাগ রুম বুকিং। আশা করছি সকাল থেকে পর্যটকের পরিমাণ আরো বাড়বে এবং আমাদের খালি রুমগুলোও বুকিং হয়ে যাবে।
পর্যাটনের সংরক্ষিত এলাকায় ভাসমান দোকান বসিয়ে ব্যবসা জমজমাট হওয়ায় পর্যাটনের ষ্টল গুলিতে বিক্রি কম বলে জানান বাবলা দে ।
বোট ব্যবসায়ী ইলিয়াস জানান, বুধবার সকাল থেকে পর্যটকের ভালোই উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। টানা বন্ধকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই রাঙামাটি বেড়াতে এসেছেন। আমাদের ট্যুরিস্ট বোটগুলো ভালো ভাড়া হচ্ছে।
মেঘের রাজ্য খ্যাত রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে রিসোর্ট-কটেজে প্রচুর পর্যটকের চাপ রয়েছে। এতে রুম বুকিং পেতে ব্যাগ পেতে হচ্ছে পর্যটকদের। কোন কোন কটেজে রুমও খালি নেই।
মেঘপুঞ্জি রিসোর্টের ম্যানেজার পুষ্প চাকমা জানান, আমাদের রিসোর্টের রুমগুলো অনেক আগে থেকেই নভেম্বর মাস পর্যন্ত বুকিং রয়েছে। অনেক পর্যটক আসছেন এবং বুকিং এর জন্য ফোন দিচ্ছেন কিন্তু আমরা কটেজ খালি না থাকায় বুকিং নিতে পারছি না।
সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুম চাকমা যম জানান, সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়া বন্ধ রয়েছে। যার কারণে টানা ছুটিতে প্রচুর পর্যটকের চাপ রয়েছে সাজেকে। তবে কোন পর্যটককে রাত্রি যাপনে রুমের অভাবে রাস্তায় ঘুরাঘুরি কিংবা রির্সোটের বারান্দায় ঘুমাতে হয়েছে সে বিষয়টি আমাদের জানা নেই। কারণ যেসব পর্যটক কর্টেজে জায়গা পাইনি তাদের কর্টেজ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কমিউনিটি ব্যাচ( অর্থ্যাৎ সাধারণ মানুষের বাড়ি ঘরে) আগে যেমন পর্যটক আসলে থাকতো সেভাবে ব্যবস্থা করে দিয়েছি কর্টেজ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে। মেঘের রাজ্য সাজেকে পর্যটক দিন দিন বাড়ায় আরো পরিকল্পনা অনুসারে কর্টেজ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা শিকার করেন কর্টেজ মালিক সমিতির এই নেতা এবং সাজেকে পর্যটকদের আমন্ত্রণ জানান তিনি। ##